Rabindranath Tagore's Social Philosophy || Rabindranath's view of society and philosophy || Influence of Rabindranath Tagore's social philosophy.
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সামাজিক দর্শন || সমাজ দর্শন সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের দৃষ্টিভঙ্গি || রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সামাজিক দর্শনের প্রভাব-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সামাজিক দর্শন সাম্য, সম্মান, সহানুভূতি, সদাচরণ এবং নৈতিকতার প্রতি শ্রদ্ধার নীতির উপর ভিত্তি করে। তিনি বাংলা তথা সাহিত্য সংস্কৃতিতে এক নতুন দিশা দেখিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথ কেবল ভারতবাসীদের গর্ব নয় তিনি সারা বিশ্বের সেরাদের মধ্যে অন্যতম। তার অগ ও নতুন সাহিত্য সংস্কৃতি মানুষের চেতনা কে প্রাণিত করে। রবীন্দ্রনাথের সমাজ দর্শন মানুষকে নিয়েই প্রতিফলিত হয়েছে।
তিনি সমাজের সকল সদস্যের প্রতি সমান সম্মান দেখান এবং অধিকার, সাহায্য এবং নিরাপত্তা দিতে ইচ্ছুকভারতের বরণীয় পুরুষদের মধ্যে অন্যতম প্রধান হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।তিনি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রতি আরও শ্রদ্ধা ও বিবেচনা দেখান এবং বন্ধুত্বপূর্ণ এবং মর্যাদাপূর্ণ আচরণ করেন।রবীন্দ্রনাথ তারের সমাজ দর্শনে আনুষ্ঠানিক আদর্শ, সম্মানবন্ধন, অনুগ্রহ, উত্তম আচরণ এবং নৈতিকতার উপর উত্তরাধিকার রয়েছে।
মানবতার ঐক্য: ঠাকুর বিশ্বাস করতেন যে সমস্ত মানুষ সংযুক্ত ছিল এবং তাদের সাংস্কৃতিক বা জাতিগত পটভূমি নির্বিশেষে সমস্ত মানুষের মধ্যে গভীর অন্তর্নিহিত ঐক্য রয়েছে। তিনি এই ঐক্যকে এমন একটি বিশ্বের ভিত্তি হিসেবে দেখেছিলেন যেখানে মানুষ শান্তি ও সম্প্রীতির সাথে বসবাস করতে পারে।
অখন্ডতা:- রবীন্দ্রনাথের কাছে দেশ কেবল মাত্র কোনো ভৌগোলিক সীমানা নয় তার আত্মার স্বে উপর প্রগাঢ় প্রেম। রাখীবন্ধন, পৌষমেলা, শ্রীনিকেতন প্রতিষ্ঠা মধ্যে দিয়ে তার অখন্ড ভাব অখন্ড ভাবনার মধ্যে দিয়ে দেশাত্ববোধকে তুলে ধরেছেন।
সাবলম্বন:- রবীন্দ্রনাথের সমাজ ভাবনার মধ্যে সাবলম্বন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েছেন।" তার ছিল স্বভূমির প্রকাশ পাই আমার। তিনি আত্মশক্তির মাধ্যমে উন্নয়ন সাধনে বিশ্বাসী ছিলেন। তাঁর কাজের পদ্ধতি ছিল পল্লীবাসীর সমস্যা সম্পর্কে তাদের সচেতন করে তোলা। সমাজকে আত্মসাধনের শক্তিতে উদ্বুদ্ধ করাই ছিল তাঁর সমাজ দর্শন ।
কুসংস্কার:- তিনি মনে করতেন কুসংস্কার যে কোনো সমাজের বিকাশে বাধা দিতে পারে। তাই তিনি বলতেন শিক্ষা ও চেতনার বিকাশ হলে সমাজের নানা ধরনের উন্নতি আসবে। তিনি মানুষকে চেতনামুখী করার জন্য গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
নারী উন্নয়ন:- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার সমাজ দর্শন নারীদের উত্থানের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি তৎকালীন সমাজের বিভিন্ন জায়গায় নারিদের বেদনাকে উপলব্ধি করেছেন। তিনি নারিদের উপযুক্ত শিক্ষা এবং সমমর্যাদায় প্রতি ষ্ঠিত করতে চেয়েছেন।
দারিদ্র মোচন- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সমাজের দারিদ্র দেখে যথেষ্ট ব্যাথিত ছিলেন। তিনি দারিদ্র দূর করার জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহন করেন। সর্ব ক্ষেত্রে তিনি সমাজের উন্নতি সাধনে উদ্যোগী হয়েছেন। বাংলার পল্লীসমাজের গ্রামের বাসিন্দারা জীবনী ।
সামগ্রিকভাবে, সামাজিক দর্শনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান আজও বিশেষ করে ভারত এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য অংশে মানুষকে প্রভাবিত ও অনুপ্রাণিত করে চলেছে। উৎসাহ দানও প্রান শক্তির জাগরন - নিও কাজ কে সাফল্য করভূ হলে চাই উপযুক্ত প্ৰনশক্তি। তিনি মনে করতেন যে কোনও কাজ সম্পন্ন করতে হলে নিজ চেষ্টায় সেই পথে বিচরন করতে হবে যা ছিল রবীন্দ্রনাথের অন্যতম সমাজ দর্শন।